রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মো. ইব্রাহিম, নোয়াখালী প্রতিনিধি।।
মুজিবশতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাঙচুর এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।
মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার সামনে বটতলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি বলেন, সোমবার (০৮ মার্চ) রাতে প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল ও তার তিন ভাগিনাসহ কিছু লোক সশস্ত্র অবস্থায় তার ব্যক্তিগত অফিস, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী মঞ্চ, চেয়ার ও প্রচার মাইকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে।আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে কেউ মারধর করেনি, তিনি নিজের জামা-কাপড় নিজেই ছিড়ে নাটক সাজিয়েছেন। বরং আমি নিজে গিয়ে তাকে নিরাপদে রিকশায় তুলে দেই। তবে ওই সময় ছেলেদের সঙ্গে তার কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে। হয়তো তখন অল্প পরিমাণে জামা ছিড়তে পারে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার বিচার এ দুনিয়াতে না হলে আখেরাতে হলেও হবে। তিনি এ নৃশংস হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করে বলেন, তদন্তে আমি দোষী সাব্যস্ত হলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।তিনি বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি রাজাকারের সন্তান নই। আমি আপনার জন্য ৪৭ বছর রাজনীতি করলাম, এখন যারা মদ খেয়ে আপনাকে গালমন্দ করলো তারা আপনার পদাঙ্ক অনুসরন করেন। যারা আপনার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেল, তারা এখন আপনার প্রিয়ভাজন। আপনি নো বললে একরাম ও নিজাম হাজারী এক সেকেন্ডও থাকতে পারবে না।মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, আমি রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার খোঁজ-খবর নেন। তিনি গতকালও আমাকে মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে শান্ত থাকার জন্য বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি সব কঠোরভাবে দেখছি। প্রধানমন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থা ও সাংবাদিক ছাড়া এখন আমার সঙ্গে কেউ নেই।
তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত ও সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী এরা জাসদ করতো। আমি তাদেরকে আওয়ামী লীগে এনেছি। এরা হাইব্রিড। তাই এদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে তাদের নাম কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমারা নতুন নেতৃত্বে এখন থেকে উপজেলায় রাজনীতি করবো। আমার কোন পদের খায়েস নেই। নেত্রী দয়া করে যদি আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে রাখেন তাহলে থাকবো। না হয়, আমি কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ করেছি তা নিয়ে জীবনের শেষ সময়টুকু পার করে দেব।স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার দ্বারা যদি আপানাদের ব্যবসা করতে সমস্যা হয়, তাহলে আমি আর কিছু করবো না। পৌরসভার তিনতলায় বসে থাকবো। তবে অন্ত্র নিয়ে বাজারে সন্ত্রাসী-মাাস্তানি করবে এটি আমি বরদাশত করবো না।